রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা (ডিএ)-র ২৫ শতাংশ মেটাতে প্রস্তুতি শুরু করল নবান্ন। ১৬ মে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ছ’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে ওই পরিমাণ বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। সেই অনুযায়ী, রাজ্যের অর্থ দফতর সব দফতরের কাছে জানতে চেয়েছে, কত জন কর্মী ডিএ প্রাপক হিসেবে এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।
বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত আছেন প্রায় আড়াই লক্ষ সরকারি কর্মচারী, প্রায় ৩.৮ লক্ষ স্কুলশিক্ষক এবং এক লক্ষের মতো পঞ্চায়েত, পুরসভা ও অন্যান্য সরকারপোষিত সংস্থার কর্মী। সব মিলিয়ে ডিএ পাওয়ার যোগ্য কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৮ লক্ষ। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের ধরলে সংখ্যাটি ১০ লক্ষ ছুঁতে পারে বলে মনে করছে কর্মচারী সংগঠনগুলি।
২০০৯ সালে জারি হওয়া পঞ্চম বেতন কমিশনের রূপার মেয়াদ ২০১৯-এ শেষ হয়েছে। তাই ২০১৯ সালের পরে যাঁরা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা এই বকেয়ার আওতায় পড়ছেন না। শুধু ২০০৯ সাল বা তার আগে থেকে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাই পুরো সময়ের ভিত্তিতে বকেয়া ডিএ পাবেন। যাঁরা ২০০৯–২০১৯ সময়কালে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁরা আংশিক ডিএ পাবেন।
২০১৬-র এসএসসি প্যানেলের মাধ্যমে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি চাকরি হারিয়েছেন, তাঁরা এই ডিএ পাবেন না বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।