প্রথম পাতা খবর ‘গো ব্যাক মোদী নয়, গো ব্যাক অনুপ্রবেশকারী বলা উচিত’—মতুয়াগড় তাহেরপুরে  তৃণমূলকে তোপ দেগে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর, ভাষণ শেষে মহাপ্রভুতে শরণ

‘গো ব্যাক মোদী নয়, গো ব্যাক অনুপ্রবেশকারী বলা উচিত’—মতুয়াগড় তাহেরপুরে  তৃণমূলকে তোপ দেগে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর, ভাষণ শেষে মহাপ্রভুতে শরণ

5 views
A+A-
Reset

কুয়াশার জন্য তাহেরপুরে নামতে পারেনি হেলিকপ্টার। বক্তৃতা দিলেন ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে। সে কারণে বাংলার মানুষের কাছে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যে বিজেপিকে একবার সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপিকে একটা সুযোগ দিন। দেখুন আমরা কী উন্নয়ন করি। গো ব্যাক অনুপ্রবেশকারী বলা উচিত। কিন্তু ওরা বলে গো ব্যাক মোদী। অনুপ্রবেশকারীদের কিছু বলে না।”

ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেওয়া ভাষণে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তৃণমূল যদি মোদীর বিরোধ করতে চায়, করুক। বিজেপির বিরোধ করতে চাইলে করুক। বারবার করুক। কিন্তু বাংলার উন্নয়ন কেন আটকে দেওয়া হচ্ছে? মোদীর বিরোধ করুন, কিন্তু বাংলার উন্নয়ন আটকাবেন না। এ রাজ্যের মানুষকে দুঃখ দেওয়ার পাপ করবেন না।”

বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান মোদী। তিনি বলেন, “বিহারে বিজেপি জঙ্গলরাজ উপড়ে দিয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গেও জঙ্গলরাজ চলছে। এর থেকে মুক্তি দরকার। এখানকার বাচ্চারা বলছে, গ্রাম-শহর-পাড়া বলছে—‘বাঁচতে চাই।’ বিজেপিই সেই আশা।” তিনি আরও জানান, রাজ্যের উন্নয়নে আগামী দিনেও আরও কাজ করতে চান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ও পরিকাঠামোগত পদক্ষেপ করা হয়েছে। “কিছুদিন আগে জিএসটি বাঁচানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে দু’টি বড় সড়ক প্রকল্প হয়েছে, যার ফলে সংযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে,” জানান তিনি। বিহারের সাম্প্রতিক নির্বাচনী ফলের প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, “গত মাসে বিহারে এনডিএ সরকার জনাদেশ পেয়েছে। তখনই বলেছিলাম, গঙ্গাজি বিহার থেকে প্রবাহিত হয়ে বাংলাতেও বিজেপির জয়ের রাস্তা তৈরি করবে।”

সংসদে ‘বন্দে মাতরম’-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরে মোদী বলেন, “এই বাংলাতেই জন্মেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। যখন দেশ পরাধীন ছিল, তখন স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল বন্দে মাতরম। আর এখন বিকশিত ভারতের মন্ত্রও বন্দে মাতরম।”

নদিয়া জেলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানকার সড়ক ও পরিবহণ ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন করা হবে। তিনি বলেন, “এই পবিত্র ভূমিতেই জন্মেছিলেন চৈতন্যদেব। তাঁর বাণী আজও জীবিত। সমাজকল্যাণের এই নৌকাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন মতুয়ারা। হরিচাঁদ ঠাকুরগুরুচাঁদ ঠাকুর সেই পথ দেখিয়েছেন। বড়মা মাতৃত্বের আশীর্বাদ দিয়েছেন।”

এর আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য জানান, ঘন কুয়াশার কারণে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার তাহেরপুরে অবতরণ করতে পারেনি। সেই কারণেই নির্ধারিত সভায় উপস্থিত না থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেন।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সাম্প্রতিক পোস্ট