পাকিস্তানের তরফে জম্মু ও কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা এবং ভারতের অন্যান্য অংশ, বিশেষ করে রাজস্থানের জয়সালমেরে ড্রোন হামলার পর ভারতীয় নৌবাহিনী পাল্টা প্রতিরোধমূলক অভিযান শুরু করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী, শুক্রবার ভোরে আরব সাগরে পাকিস্তানের একাধিক লক্ষ্যে নিখুঁত অভিযান শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতভর জম্মুতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পরে জানা যায়, পাকিস্তান শুধুমাত্র জম্মু নয়, আরএস পুরা, অর্ণিয়া, সাম্বা ও হিরানগর-সহ জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে আটকাতে সক্ষম হয়।
পাঠানকোটে গোলাবর্ষণ হয় এবং জয়সালমেরে ড্রোন ধ্বংস করা হয়। চণ্ডীগড়, মোহালি ও শ্রীনগর-সহ বিভিন্ন শহরে ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “আজ জম্মু, পাঠানকোট ও উদমপুরের সামরিক স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এগুলি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর অনুযায়ী কাইনেটিক ও নন-কাইনেটিক পদ্ধতিতে দ্রুত নিষ্ক্রিয় করা হয়। কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।”
তারা আরও জানিয়েছে, “ভারত তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং জনগণের সুরক্ষায় অটুট।”
গত মাসের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর বুধবার ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাকিস্তানে লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর সহ নয়টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।
এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের ১৫টি স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যর্থ হামলা চালায়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ভারত পাকিস্তানের একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে, যার মধ্যে একটি লাহোরে ছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান ফের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, যা ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সফলভাবে আটকায়।
এর আগে, ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী জানান, ভারতের জবাব ছিল নিখুঁত, পরিমিত ও সুনির্দিষ্ট। তিনি পাকিস্তানের অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, প্রকৃত উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল পাকিস্তানই, ২২ এপ্রিলের পাহলগাম হামলার মাধ্যমে, যেখানে ২৬ জন নিহত হন।
তিনি বলেন, “মূল উত্তেজনার সূচনা হয়েছিল ২২ এপ্রিল পাকিস্তানের সন্ত্রাসী হামলায়। ভারত তখনই পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়। আমরা জানিয়ে আসছি যে আমাদের প্রতিক্রিয়া ছিল সংযত, এবং শুধুমাত্র জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখন পাকিস্তানের যেকোনো অতিরিক্ত পদক্ষেপকে আমরা উসকানি হিসেবেই দেখব এবং তার যোগ্য জবাব দেব।”