প্রথম পাতা খবর ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে জোর বিতর্ক, মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী

ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে জোর বিতর্ক, মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী

281 views
A+A-
Reset

নয়াদিল্লি: ডাক্তারিতে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা নি‌‌ট-এ ব্যাপক অনিয়ম এবং অন্যায্য ভাবে নম্বর দেওয়ার অভিযোগ। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। চাপে পড়ে ‘গ্রেস মার্কস’ বা বাড়তি নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাতিল। বদলে আরও এক বার পরীক্ষায় বসার সুযোগ। সেই বিতর্কেই এ বার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “২৪ লক্ষ ছাত্র পরীক্ষায় বসেছিল। সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে সেটা মাত্র সাড়ে ১৫০০ ছাত্রকে নিয়ে। সরকার প্রমাণ সহ চেষ্টা করছে সন্তোষজনক উত্তর দেওয়ার। যে কয়েকটি অভিযোগ উঠে এসেছে সেগুলিকে সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যে ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে তাতে দোষীদের শাস্তি হবে।”

গতকাল, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে কাছে কেন্দ্র জানিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য নি‌ট দেওয়া যে সব পরীক্ষার্থীকে ভুল প্রশ্নের জন্য গ্রেস মার্ক দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের নম্বর বাতিল করা হবে। তাঁরা আবার পরীক্ষা দিতে পারবেন। আগামী ২৩ জুন তাঁদের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৩০ জুন।

কিছু পরীক্ষার্থীর সঠিক নম্বর না পাওয়া, ঘোষিত মার্কের অমিল এবং ওএমআর (OMR) শিটের তুলনায় গ্রেস মার্কের ধারণা এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। অভিযোগ, কিছু পরীক্ষার্থী ৭১৮ এবং ৭১৯ নম্বর পেয়েছে। এই নম্বর পাওয়ার পিছনে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। কারণ এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১৮০টি প্রশ্ন থাকে। প্রত্যেকটির সঠিক উত্তরের জন্য ৪ (চার) নম্বর পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে কোনো পরীক্ষার্থী যদি সবকটি প্রশ্নের নির্ভুল উত্তর দেন, তিনি ৭২০ নম্বর পেতে পারেন। একটির জন্য কোনো উত্তর না করলে পেতে পারেন ৭১৬ নম্বর। অর্থাৎ, ৭১৯ অথবা ৭১৮ পাওয়ার কোনো যুক্তি নেই। এক্ষেত্রে যে গ্রেস মার্কের কথা বলা হচ্ছে, সেই অনুযায়ী কোনো তালিকাও প্রকাশ করা হয়নি। এ ছাড়াও, ৭২০ নম্বর পেয়ে ৬৭ জনের টপার হওয়া, এবং আশ্চর্যজনক ভাবে হরিয়ানার একটি কেন্দ্র থেকেই ৬ জনের শীর্ষস্থান দখল করার বিষয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। চাপে পড়ে অবশ্য ওই ৬ জনকে পুনরায় পরীক্ষায় বসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, এমনটাও অভিযোগ উঠেছে, নিট ২০২৪-এর প্রশ্নপত্র অনেক জায়গায় ফাঁস হয়েছে, কিন্তু এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একই সময়ে, অনেক পরীক্ষার্থী তাঁদের স্কোরকার্ডে ওএমআর শিটের তুলনায় ভিন্ন নম্বর পেয়েছেন। এ ছাড়াও, নিট ২০২৪-এর ফলাফল নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যেও বিশেষ কোনো কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.