চৈত্র সংক্রান্তির সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে উদ্বোধন হল কালীঘাট স্কাইওয়াক, নবরূপে কালীঘাট মন্দির ও প্রাঙ্গণ, এবং রিফিউজি হকার্স কর্নারের। বাংলা নতুন বছরের ঠিক আগের দিনেই এই ঐতিহাসিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নের সাক্ষী রইল শহর কলকাতা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য, প্রশাসনের শীর্ষকর্তা, শিল্পপতি, সংস্কৃতি জগতের পরিচিত মুখ। বক্তব্যে মমতা তুলে ধরেন সম্প্রীতির বার্তা। বলেন, “মানুষকে ভালোবাসা সবচেয়ে বড় ধর্ম। শান্তির পথে থাকুন। আইন কখনও হাতে তুলে নেবেন না। আইনের জন্য আইনের রক্ষকরা রয়েছেন। আইনের ভক্ষকদের দরকার নেই। কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। বাংলার মাটি শান্তির মাটি, সোনার চেয়েও খাঁটি।”
পাশাপাশি তিনি জানান, হকারদের কর্মহানির আশঙ্কা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে রিফিউজি হকার্স কর্নার, যেখানে তাঁরা ফের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রিমোট টিপে একে একে তিনটি প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে উদ্বোধন করেন নবরূপে কালীঘাট মন্দির, তারপর স্কাইওয়াক, এবং শেষে হকার্স কর্নার। উদ্বোধনের পর নিজে স্কাইওয়াকে পা রাখেন, ঘুরে দেখেন পুরো পথ। এরপর মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন।
২০১৮-র ঘোষণার পর একাধিক দেরিতে শেষমেশ এই স্কাইওয়াক পেল চূড়ান্ত রূপ। রাজ্যের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “স্কাইওয়াক শুধু রাস্তা নয়, এটা মানুষের যাত্রাপথের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতীক।”