গণেশ বিসর্জনের আগের দিন বোমা রাখায় হুমকিকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় মুম্বইয়ে। মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইনে পাঠানো হয় ভয়ঙ্কর হুমকি বার্তা— শহরে ৩৪টি গাড়িতে ৪০০ কেজি আরডিএক্স পুঁতে রাখা হয়েছে এবং হামলায় ১ কোটি মানুষকে খুন করা হবে। হুমকি বার্তায় আরও দাবি করা হয়, পাকিস্তান থেকে ১৪ জন জঙ্গি মুম্বইয়ে ঢুকে পড়েছে।
এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় মহারাষ্ট্র জুড়ে। তড়িঘড়ি নড়েচড়ে বসে মুম্বই পুলিশ। একাধিক স্থানে তল্লাশি শুরু হয়, পাশাপাশি অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াডকেও জানানো হয়। তবে তদন্তে উঠে আসে, হুমকি পাঠানোর সূত্র মুম্বই নয়, উত্তরপ্রদেশের নয়ডা। পুলিশের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। নয়ডা পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মী সিংয়ের সহযোগিতায় দ্রুত একটি বিশেষ দল গঠন করে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত অশ্বিনীকে।
মুম্বই পুলিশের দাবি, হুমকি বার্তায় ‘লস্কর-এ-জিহাদি’ নামে একটি সংগঠনের উল্লেখ রয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে গোটা ঘটনাটিকে ‘ভুয়ো হুমকি’ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবুও কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “এর আগেও ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপে এ ধরনের হুমকি বার্তা এসেছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।”
শনিবার গণেশ বিসর্জন উপলক্ষে মুম্বইয়ের রাস্তায় নামবেন লাখ লাখ মানুষ। এই বিশাল জনসমাগমে যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য শহরে মোতায়েন করা হয়েছে ২১ হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী। পুলিশ সকলকে গুজবে কান না দিয়ে সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে অনুরোধ করেছে।
ঘটনায় ওয়ারলি থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির (ভারতীয় ন্যায় সংহিতা) ৩৫১ ধারায় এবং উপধারা ২, ৩ ও ৪ অনুসারে মামলা দায়ের হয়েছে। এখন পুলিশ বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে।