উত্তর ২৪ পরগনার উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান এবং তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রহস্যজনক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার সকালে তাঁর নিজের বাড়ির চিলেকোঠা থেকে গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় দেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে নিখোঁজ থাকা এই তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বাড়িতে ফিরেছিলেন সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মোবাইল রেখে ফের বাড়ির বাইরে যান এবং রাতেই ফেরেন। কিন্তু শনিবার সকালে বাড়ির চিলেকোঠায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হন সত্যজিৎ। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে শুরু করেন। তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের তরফে নোয়াপাড়া থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে শুক্রবার রাতে তিনি হঠাৎ বাড়ি ফেরেন, যা পরিবারের জন্য আশার আলো দেখিয়েছিল। কিন্তু পরদিন সকালে এমন ঘটনা ঘটায় তাঁরা মর্মাহত।
প্রাথমিক অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। তবে, এই মৃত্যুর পিছনে সম্পর্কজনিত কোনও কারণ থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই প্রকৃত কারণ পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তৃণমূল নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগেই কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক তৃণমূল নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
নোয়াপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। আত্মহত্যা না কি এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তা জানতে প্রত্যেকটা দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর তদন্তের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।