কাটোয়া: সুদে টাকা ধার নিয়েছিলেন। সঠিক সময়ে শোধ দিতে পারেননি। এই অপরাধেই নির্মম শাস্তি। সরকারি কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেঁধে ফেলা হল রেল লাইনে। ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়ল পা। মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম।
রুদ্রভৈরব মুখোপাধ্যায় নামে জখম ব্যক্তি রাজ্যের সেচ দফতরের কর্মী। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম কর্মস্থল তাঁর। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে কাটোয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদপুর কলোনিতে থাকতেন রুদ্রভৈরব। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ ও রেলপুলিশ ওই ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখার শিবলুন স্টেশনের কাছে রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রুদ্রভৈরব।
শুক্রবার হাসপাতালে শুয়ে রুদ্রভৈরব সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, “সুদে টাকা ধার নিয়েছিলাম। অফিসের এক সহকর্মী এবং তাঁর বন্ধুর কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। সেই টাকা শোধ করেছিলাম। কিন্তু ওঁরা সুদের টাকা বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিল। আর তারপর থেকে সুদের টাকা চেয়ে চাপ দিচ্ছিল। তারপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবলুন গ্রামের বাড়ি থেকে কাটোয়ার বাড়িতে ফেরার সময় দু’জন মোটরবাইকে করে এসে আমার পথ আটকায়। আর কিছু একটা খাইয়ে দেয় আমাকে”।
ওই মিশ্রণ খাইয়ে দিতেই ওই ব্যক্তি খানিকটা অচেতন হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। তারপর তাঁর হাত–পা বেঁধে ফেলা হয়। আর রেল লাইনের ধারে রেখে দেওয়া হয়। সেখান দিয়ে দ্রতগতিতে ট্রেন যাওয়ার সময় ওই ব্যক্তির পায়ে আঘাত করে। তখনই তাঁর একটি পা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। আর একটি পা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালীপুজোর সন্ধ্যায় দুর্যোগের আশংকা