নিয়োগের দাবিতে এবার আন্দোলনে নামলেন নার্সিংয়ের চাকরি প্রার্থীরা। সল্টলেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন বিক্ষোভকারীরা। আটক করা হল বেশ কয়েকজনকে। অভিযোগ, ৫ হাজার জনের ইন্টারভিউ নেওয়া হলেও চাকরি দেওয়া হয়েছে ২ হাজার জনকে। ইন্টারভিউয়ে পাস করার পরেও তাঁরা চাকরি পাননি বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি।
এদিন প্রথমে স্বাস্থ্যভবনের ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপর বিক্ষোভকারীদের তরফে ৪ জনের প্রতিনিধিদলকে ভিতরে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয় পুলিস। বাকিরা তখন স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে এসে রাস্তা অবরোধ করেন।
নার্সিং-এর নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন নার্সিং ছাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, নিয়োগের জন্য যে প্যানেল তৈরি করা হয়েছে, সেখানে এমন অনেকের নাম রয়েছে যাঁদের রেজিস্ট্রেশন নেই। নিয়ম বহির্ভূতভাবে চল্লিশোর্ধ্ব অনেকে চাকরি পেয়েছেন। কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ করা হয়েছে অনেককে। শুধু তাই নয়, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে পাশ করা ছাত্রীরা এখনও চাকরি পাননি কিন্তু ২০২১ সালে পাশ করে চাকরি পেয়েছেন অনেকেই। মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে এদিন সল্টলেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভে শামিল নার্সিং চাকরি প্রার্থীরা। স্বাস্থ্যভবন লাগোয়া হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সল্টলেক এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাইকিং করে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের আধিকারিক ও পুলিশ। তবে দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও উত্তপ্ত স্বাস্থ্যভবন চত্বর।