পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে ভারত চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদে বড়সড় আঘাত হানল ভারতীয় সেনাবাহিনী। বুধবার গভীর রাতে চালানো ওই প্রতিশোধমূলক অভিযানে জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ জন সদস্য এবং ৪ জন ঘনিষ্ঠ সহচর নিহত হয়েছেন বলে স্বয়ং মাসুদ আজহার একটি উর্দু বিবৃতিতে স্বীকার করেছেন।
ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বহাওয়ালপুরে জইশ সদর দফতর ‘সুবহান আল্লাহ কমপ্লেক্স’ লক্ষ্য করে হামলা চালায়। সেখানেই আজহারের আত্মীয়দের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আজহারের বড় বোন, ভগ্নিপতি, ভাগ্নে ও ভাগ্নেবউ-সহ আরও কয়েকজন।
মাসুদ আজহারের বিবৃতি
আজহার বলেন, “আজ রাতে আমার পরিবারের ১০ জন একসঙ্গে জান্নাতুল ফিরদাউসের ফুল হয়ে গেল। পাঁচটি নিষ্পাপ শিশু জান্নাতে চলে গেছে। আমার প্রাণাধিক বড় বোন সাহিবা, তাঁর স্বামী, আমার ভাগ্নে আলিম ফাজিল ও তাঁর স্ত্রী, প্রিয় ভাগ্নি আলম ফাজিলা… ওরা সবাই আল্লাহর প্রিয় হয়ে উঠেছে।”
তিনি আরও বলেন, “মোদী শিশু, পর্দানশিন নারী আর বৃদ্ধদের নিশানা করেছে। শোক অসহনীয়, কিন্তু কোনও আফসোস নেই। আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ঠিক করা থাকে। আজ আমাদের বাড়ির ৭ থেকে ৩ বছর বয়সি চার শিশুর সবাই একসঙ্গে শহিদ হয়েছে। কোরান বলে, শহিদের মর্যাদা আল্লাহ যাঁদের ভালবাসেন, তাঁদেরই জন্য।”
অপারেশন সিঁদুরের খতিয়ান
ভারতের সেনা, নৌ ও বায়ুসেনা যৌথভাবে এই প্রিসিশন স্ট্রাইক চালায়। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে চারটি এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে পাঁচটি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, শুধুমাত্র জঙ্গি পরিকাঠামোকে নিশানা করা হয়েছে, কোনও পাকিস্তানি সামরিক জায়গায় আঘাত হানা হয়নি। পাকিস্তানের দাবি, বেসামরিক এলাকায় হামলা হয়েছে, ভারত তা সরাসরি অস্বীকার করেছে।
পাকিস্তান অধিগৃহীত কাশ্মীরের কোটলি অঞ্চলে লস্কর-এ-তৈবা-র ধর্মীয় প্রচারক ক্বারি মহম্মদ ইকবাল এই অভিযানে নিহত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।