নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার সকালেই বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। লক্ষ্য ছিল দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দপ্তর, যা সংসদ ভবন থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। তবে শুরু থেকেই উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যায় রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে।
মিছিল শুরু হতেই সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় কড়া অবস্থান নেয় দিল্লি পুলিশ। চারপাশে ব্যারিকেড বসানো হয়, মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মী। ব্যারিকেডে আটকে দেওয়া হয় রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, অখিলেশ যাদব, ডিম্পল যাদব, মহুয়া মৈত্র, ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ বিরোধী সাংসদদের। এই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। রাস্তায় বসে পড়েন একাধিক বিরোধী নেতা।
চোখে পড়ে যায় বিশৃঙ্খল চিত্র—দলীয় পতাকা, পোস্টার হাতে স্লোগান দিতে দিতে পুলিশ ব্যারিকেডে ধাক্কা দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা, পুলিশ ঠেলাঠেলি করে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দেশে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। পুলিশের এই আচরণকে তাঁরা গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ বলেই চিহ্নিত করছেন।