১ নভেম্বর থেকে শুরু নতুন মরশুমের ধান কেনা, টাকা তিনদিনের মধ্যে চাষির অ্যাকাউন্টে, নির্দেশ খাদ্য দফতরের

রাজ্যের চাষিদের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। খাদ্যদপ্তরের নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে ধান বিক্রির পর সর্বাধিক তিনটি কর্মদিবসের মধ্যে চাষির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে বিক্রিত টাকার পুরো অঙ্ক। এই নিয়ম কার্যকর হবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে, যখন রাজ্যজুড়ে শুরু হবে ২০২৫-২৬ খরিফ মরশুমে ধান কেনার প্রক্রিয়া।

খাদ্যদপ্তর সূত্রে খবর, শুধু স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্র নয়, অস্থায়ী শিবিরগুলিতেও সময়মতো অর্থপ্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। অস্থায়ী শিবিরগুলি পরিচালনা করে কয়েকটি সরকারি সংস্থা। তাদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ধান কেনার তথ্য ক্রয়পরবর্তী দিনের মধ্যেই খাদ্যদপ্তরকে জানাতে হবে। এরপর খাদ্যদপ্তর সরাসরি চাষিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠাবে।

বর্তমানে রাজ্যে খাদ্যদপ্তরের অধীনে ৬২০টি স্থায়ী কেন্দ্রীয় ক্রয়কেন্দ্র১৭৯টি ভ্রাম্যমাণ স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্র চালু হচ্ছে। দুই ধরনের ক্রয়কেন্দ্রেই ধান বিক্রি করলে চাষিরা পাবেন ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) কুইন্টাল প্রতি ₹২,৩৬৯, সঙ্গে ₹২০ বোনাস।

ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলি চালু করা হচ্ছে মূলত প্রত্যন্ত এলাকার চাষিদের সুবিধার জন্য। যেসব চাষির এলাকায় নির্দিষ্ট স্থায়ী কেন্দ্র নেই বা দূরত্বের কারণে যাওয়া সম্ভব নয়, সেখানে এই কেন্দ্রগুলি পৌঁছে যাবে। খাদ্যদপ্তরের পোর্টালে ৪৫ থেকে ১৫ দিন আগে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের অবস্থান জানানো হবে।

চাষিদের জন্য অনলাইন বুকিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্ধারিত দিনে ক্রয়কেন্দ্রে যেতে না পারলে নতুন করে বুকিং করতে হবে। খাদ্যদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান ক্রয়ের ব্যস্ত সময়ে ক্রয় প্রক্রিয়ায় বিশেষ জোর দেওয়া হবে।

এই নির্দেশের ফলে রাজ্যের লক্ষাধিক চাষি সময়মতো বিক্রির অর্থ পেয়ে উপকৃত হবেন বলে মনে করছে খাদ্যদপ্তর।

Related posts

বাংলায় শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন, নাগরিকত্ব প্রমাণে লাগবে এই ১১টি নথির যে কোনও একটি

বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ, কলকাতা সহ দক্ষিণের জেলার মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টি, কত দিন?

কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী! বালাসন নদীর উপর মিরিকের দুধিয়ায় অস্থায়ী সেতু তৈরি, সোমবার থেকেই চলাচল শুরু