পাকিস্তানের সৌজন্যে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসলামাবাদের দাবি, ২০২৬ সালে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের বিশেষ ভূমিকা ছিল ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের পরিস্থিতি ঠেকাতে। ইসলামাবাদ সরকার ট্রাম্পের কূটনৈতিক দক্ষতার প্রশংসা করে জানিয়েছে, তাঁর হস্তক্ষেপ না থাকলে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ অনিবার্য ছিল।
পাকিস্তান আরও জানিয়েছে, ১০ মে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি সম্ভব হয় ট্রাম্পের দূরদর্শী কূটনীতির কারণে। তাঁকে ‘প্রকৃত শান্তিরক্ষক’ আখ্যা দিয়েছে ইসলামাবাদ। এই মনোনয়নের ঘোষণা আসে ১৮ জুন, হোয়াইট হাউসে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির ও ট্রাম্পের মধ্যাহ্নভোজের পরই।
এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসলামাবাদ-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে পারে এই পদক্ষেপে। তবে ভারত-আমেরিকা কূটনৈতিক সম্পর্কে এর প্রভাব নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ, ওই দিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতিতে আমেরিকার কোনও মধ্যস্থতার ভূমিকা নেই।