৪৫ বছর ধরে চন্দননগরে বসবাস। স্বামী-সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিনের সংসার। অথচ শনিবারই পাকিস্তানি নাগরিক ফতেমা বিবিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, বৈধ নথি ছাড়াই এত বছর ভারতে ছিলেন তিনি। বর্তমানে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৯৮০ সালে বাবার সঙ্গে পর্যটন ভিসায় ভারতে আসেন ফতেমা। এক বছর পর থেকেই তিনি ‘নিখোঁজ’ তালিকায় ছিলেন। ১৯৮২ সালে চন্দননগরের বেকারি মালিক মুজফ্ফর মল্লিকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এরপর থেকেই চন্দননগরেই ছিলেন ফতেমা। তাঁদের দুই মেয়ে ও স্বামী বর্তমানে ফতেমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ফতেমার পূর্বপুরুষের শিকড় হুগলির নালিকুলে। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে কাজের সূত্রে থাকতেন তাঁর বাবা। সেখান থেকেই ভারতে ফেরেন।
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানি নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এই নির্দেশের জেরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। সেই আবহেই চন্দননগরের কুঠির মাঠ এলাকায় ফতেমার অবস্থান জানতে পেরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
পরিবার জানিয়েছে, তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এতদিনেও তা মেলেনি। পরিবারও আরও জানিয়েছে, তাঁর প্যান কার্ড থেকে শুরু করে আধার কার্ড-সবই আছে। তিনি ভোটও দেন। কিন্তু ভারতের নাগরিক না হয়েও তিনি কীভাবে এই ধরনের সরকারি নথি করালেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।