পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের পাল্টা প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, সেই জল্পনার মধ্যেই আজ, সোমবার প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংহের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সূত্রের খবর, এই বৈঠক চলে প্রায় আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। এর আগেই প্রধানমন্ত্রী দেখা করেছেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিংহের সঙ্গে। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনার তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে কেন্দ্র যে রণকৌশল সাজাচ্ছে, তা স্পষ্ট।
জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামের বৈসরণ উপত্যকায় ১২ দিন আগে জঙ্গিরা হঠাৎ হামলা চালিয়ে ২৫ জন পর্যটক ও এক স্থানীয় ঘোড়াচালককে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই নৃশংস হামলার পর দেশ জুড়ে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই হামলায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে যা কল্পনারও বাইরে।
ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে, পাশাপাশি পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবাও বন্ধ করা হয়েছে। পাকিস্তানের কূটনৈতিক মিশনের কর্মীর সংখ্যাও কমিয়ে দিয়েছে দিল্লি। এর মাধ্যমে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে ইসলামাবাদকে।
জবাবে পাকিস্তান জানায়, ভারতের জল সরবরাহ বন্ধ করার যে কোনও পদক্ষেপকে যুদ্ধ ঘোষণার সমান মনে করা হবে এবং তারা সিমলা চুক্তি-সহ সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করতে পারে, যা নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) সম্পর্কিত নিয়ম লঙ্ঘন করে।
গত কয়েক দিনে প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও নিরাপত্তা দপ্তরের শীর্ষ কর্তাদের একাধিক বৈঠক হয়েছে। কাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ দেশবাসীকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আপনারা যা চাইছেন, মোদীজির নেতৃত্বে তা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের ভৌগোলিক নিরাপত্তা রক্ষা করেছেন আমাদের বীর জওয়ানরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব হল সেনার পাশে থেকে দেশের সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং যারা আমাদের দেশকে হুমকি দিচ্ছে, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া।”