পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ধাক্কায় সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতেই জেদ্দা থেকে দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পূর্বনির্ধারিত সরকারি নৈশভোজেও অংশ নেননি প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, হামলাকারীরা সেনাবাহিনীর পোশাকে ছিল এবং ধর্মীয় পরিচয় জেনে জেনে গুলি চালায়। গোটা এলাকায় প্রায় ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। বহু মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলওয়ামার পর এটিকে দেশের মাটিতে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
ঘটনার জেরে মোদীর দু’দিনের সৌদি সফর সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাঁর একাধিক কূটনৈতিক কর্মসূচি এবং সরকারি নৈশভোজে থাকার কথা থাকলেও সব বাতিল করে জরুরি ভিত্তিতে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরেই দিল্লিতে পৌঁছনোর কথা মোদির।
এই ভয়াবহ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। লিখেছেন, “জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি গভীর সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই কাপুরুষোচিত হামলায় যারা জড়িত, তাদের কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও দৃঢ় হবে।”
ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশে কাশ্মীরে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিস্থিতির উপর তিনি সরাসরি নজর রাখছেন এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
কাশ্মীরের শান্তিপূর্ণ আবহে এভাবে পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে উপত্যকার বিভিন্ন অংশে।