শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার আয়োজন করতে চলেছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পূর্বপল্লির মাঠেই হবে এই মেলা। বুধবার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা নিয়ে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্ৰন্থাগারে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সভাপতি অনিল কোনার, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সরেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অধ্যাপক ও রেজিস্ট্রার। বৈঠকের পর মেলা হচ্ছে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৯ সালের পর আবার বিশ্বভারতী এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টই পূর্বপল্লির মাঠে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার আয়োজন করবে।
২০২৩ সালে বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট রাজ্য সরকারকে মেলা আয়োজনের দায়িত্ব দিলেও তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। এবার, ট্রাস্ট ডিড অনুযায়ী, মূল আয়োজক থাকবে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবে। মেলার জন্য আগের মতোই জল, বিদ্যুৎ, নিকাশি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হবে। এই বিষয়ে একটি চিঠিও পাঠানো হবে খুব শীঘ্রই।
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বৈঠকের পর বলেন, চলতি বছর শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা পূর্বপল্লির মাঠে হতে চলেছে। তবে আর রাজ্য সরকার নয়, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট সম্পূর্ণ পৌষ মেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ৭ পৌষ ঐতিহ্যবাহী এই পৌষ মেলার আয়োজন করা হয়। ২০১৯ সালে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতীর আয়োজনে পূর্বপল্লির মাঠে শেষ বার হয়েছিল পৌষমেলা। ২০২০ সালে করোনা অতিমারির কারণে মেলা হয় নি। ২০২১ এবং ২০২২ সালে নানা কারণ দেখিয়ে মেলা করেনি বিশ্বভারতী। পরিবর্তে দু’বারই বোলপুর ডাকবাংলো ও স্টেডিয়াম মাঠ জুড়ে হয়েছিল বিকল্প পৌষমেলা। গত বছর বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়। তার পরে পূর্বপল্লির মেলার মাঠে ফিরে আসে পৌষমেলা। তবে গত বারও সেই মেলার আয়োজন করেনি বিশ্বভারতী। শর্তসাপেক্ষে জেলা প্রশাসনকে মেলা করার জন্য পূর্বপল্লির মাঠ দিয়েছিল বিশ্বভারতী। ভার্চুয়ালি সেই মেলার উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।