ওয়েবডেস্ক : রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ দিয়ে এই প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হল। সাধারণতন্ত্র দিবসে হিংসা এবং জাতীয় পতাকার অপমান দুর্ভাগ্যজনক। দশকের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে বিরোধীশূন্য সংসদে মন্তব্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের।
তিনি বলেন, “যে গণতন্ত্র শান্তিপূর্ণভাবে অহিংস বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার দেয়, অভিব্যক্তির স্বাধীনতা দেয়। সেই সংবিধানই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার কথাও বলে। সাধারণতন্ত্র দিবসে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে এবং তেরঙ্গার অপমান হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক।”
এক দিকে কোভিড পরিস্থিতি, অন্য দিকে কৃষক বিক্ষোভ। সেই অবস্থাতেই শুক্রবার থেকে সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হল। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির ভাষণের একটা বড় অংশ জুড়ে রইল কৃষক ইস্যু। রাষ্ট্রপতি বোঝানোর চেষ্টা করলেন, কেন্দ্রের এই তিন নয়া আইনে ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদের উপকার হবে। কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীরা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
রাষ্ট্রপতির কথায়, সময়ের দাবি মেনে আমাদের ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদের অবস্থার পরিবর্তনের প্রয়োজন। দেশের ৮০ শতাংশ কৃষক এই শ্রেণীর মধ্যে পড়ে। এঁদের সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি। ব্যাপক আলোচনার পর ৭ মাস আগে তিনটি কৃষি আইন পাশ করিয়েছিল সরকার।
আরও পড়ুন : কৃষি আইনের প্রতিবাদে সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কটের সিদ্ধান্ত তৃণমূল-সহ ১৬ বিরোধী দলের
এই তিনটি আইনের সবচেয়ে বড় সুবিধা এই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরাই পাবেন। সেটা বুঝতে পেরে অনেক রাজনৈতিক দলও এটাকে সমর্থন করেছে। মোদি সরকার যে সুপ্রিম কোর্ট বা সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না, সেটাও এদিন বোঝানোর চেষ্টা করেছেন রাষ্ট্রপতি।
সেই সঙ্গে সরব হয়েছেন সাধারণতন্ত্র দিবসের হিংসার ঘটনা নিয়েও। তিনি বলেন, “আমাদের সরকার কৃষকদের আশ্বস্ত করতে চায়, পুরনো আইনে কৃষকরা যা যা সুবিধা পেতেন, তা একটুও কমানো হবে না।”
কেন্দ্রের কৃষি আইন এবং কৃষকদের কলুষিত করার চেষ্টার প্রতিবাদে এবারের বাজেট অধিবেশনের আগে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করেছে মোট ১৯টি বিরোধী দল। এর মধ্যে সদ্য এনডিএ ছাড়া অকালি দলও রয়েছে।
রয়েছে বিজেপির সঙ্গে সদ্য ঘনিষ্ঠতা তৈরি করা বিএসপিও। যার ফলে এদিন সংসদের অধিবেশন ছিল কার্যত বিরোধী শূন্য। সেই বিরোধী শূন্য সংসদ ভবনকে সাক্ষী রেখেই রাষ্ট্রপতি কৃষি আইনের ‘সুখ্যাতি’ করে সরকারকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন।