কলকাতা: দশমীর দিনই চারটি সেরা পুজোর জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয় রাজভবনের তরফে। জানা যায়, বাঙালিয়ানার নিক্তিতে মেপে সাধারণ মানুষের ভোটের ভিত্তিতে সেরা চার বেছে নেন রাজ্যপাল। জানানো হয়, পুরস্কার মূল্য হিসাবে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে এই চার পুজোকে।
রাজভবনের তরফে পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় ছিল কলকাতার টালা প্রত্যয়, নদিয়ার কল্যাণী আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাবের পুজো এবং উত্তর ২৪ পরগনার বরাহনগরের ‘বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাব’ ও বরাহনগরের ‘নেতাজি কলোনি লো ল্যান্ড’। তবে ইতিমধ্যে এই পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেছে দুই পুজো। লুমিনাস ক্লাব এবং টালা প্রত্যয় এই পুরস্কার প্রত্যাথ্যান করার কথা জানিয়ে দিয়েছে।
লুমিনাস ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তা অরূপ মুখোপাধ্যায় জানান, এর সঙ্গে রাজনীতিকে জুড়ে দিলে চলবে না। পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল ১০০ দিনের কাজের টাকা পেতে দিল্লিকে জানাক। গরিব মানুষ প্রাপ্য টাকা পেলেই ভাবব আমরা পুরস্কার পেয়ে গিয়েছি।”
পুরস্কার প্রত্যাখ্যান নিয়ে টালা প্রত্যয় সোসাইটির সম্পাদক শান্তনু ঘোষ বলেন, “কলকাতায় যারা দুর্গাপুজো করে তাদের যত প্রতিযোগিতা হয়, তাতে আবেদন পদ্ধতি থাকে, জাজেস প্যানেল আসা, দেখানো সবটা থাকে। তারপর তো হার জিৎ। এই লড়াইয়ে কিন্তু একটা ভ্রাতৃত্ববোধও কাজ করে। একটা বন্ডিংও কাজ করে কলকাতার সমস্ত দুর্গাপুজোর। সেখানে আমরা তো এটায় কোনওভাবেই অ্যাপ্লাই করিনি। তারা কীভাবে এটার বিচার করলেন জানি না। কলকাতায় শুনলাম একমাত্র আমরাই পেয়েছি। সেটা আমার মনে হচ্ছে কলকাতার সমস্ত দুর্গাপুজোর যে বন্ডিং সেটা বোধহয় কোনও একটা জায়গায় ধাক্কা খাচ্ছে। কোনও বিচারক, প্রসেস ছাড়া এটা চলছে। আমরা তাই বিরত থাকছি। তবে পরের বছর যদি ওনারা সুন্দর নিয়ম অনুযায়ী সবটা করেন, বিচারক আসেন সবটা দেখেন, তারপর দেখা যাবে।”