পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারের দরজা খুলল ৪৬ বছর পরে। কিন্তু তার ভিতরে কী কী রয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
রত্নভান্ডারটি খোলার সময় ১১ জন লোক উপস্থিত ছিলেন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন ওড়িশা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ, শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের (এসজেটিএ) প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধি, ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা সংস্থার (এএসআই) সুপারিনটেনডেন্ট ডিবি গদনায়ক এবং পুরীর রাজা ‘গজপতি মহারাজা’-এর একজন প্রতিনিধি। আচার-অনুষ্ঠান দেখাশোনা করার জন্য চারজন সেবায়তও ছিল। রবিবার বিকেল ৫.২০ মিনিটে তাঁরা রত্নভান্ডার থেকে বেরিয়ে আসেন, যেখানে একটি অভ্যন্তরীণ এবং একটি বাইরের প্রকোষ্ঠ রয়েছে।
সময়ের সাথে সাথে এই রত্নভান্ডারের সম্পদ বাড়তে থাকে বলে মনে করা হয়, কিন্তু বর্তমানে সেই সম্পদের আয়তন কতটা বেড়েছে, গল্প-কাহিনীর বাইরেও কত সোনা, গহনা ও মূল্যবান পাত্র মজুত আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে মূল্যায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে রত্নভান্ডারের সম্পদ রহস্য কবে উন্মোচিত হবে তা নিয়ে এখনও সাসপেন্স রয়েছে।
আজ, সোমবার জগন্নাথ মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে বলেও খবর। মানে রত্নভান্ডারের পুরো রহস্য উদঘাটনে আরও সময় লাগবে। বর্তমানে রত্না ভান্ডারের তালা ভেঙে নতুন তালা লাগানো হয়েছে।