কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে সারা দেশে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। দেশব্যাপী বিক্ষোভ।
ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (FORDA) সোমবার হাসপাতালগুলিতে নির্দিষ্ট পরিষেবাগুলিতে দেশব্যাপী বিরতি ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডাকে লেখা একটি চিঠিতে, ফোরডা কলকাতার ঘটনাটিকে “সম্ভবত আবাসিক ডাক্তার সম্প্রদায়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কাণ্ড” বলে বর্ণনা করেছে। স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য একটি বাধ্যতামূলক প্রোটোকল প্রয়োগের দাবি করেছে সংগঠন।
উত্তরপ্রদেশের লখনউতে কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে, প্রতিবাদী চিকিৎসকরা বহির্বিভাগ বন্ধ রাখেন। মুম্বইতে জেজে হাসপাতাল, সায়ন হাসপাতাল, নায়ার হাসপাতাল এবং কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান চিকিৎসকরা।
আরজি করের ঘটনায় চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করার পর দিল্লি এইমস-এ দৈনিক অস্ত্রোপচারের সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমেছে এবং ভর্তির সংখ্যা ৩৫ শতাংশ কমেছে বলে জানায় সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এ ব্যাপারেএইমস কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে একটি সার্কুলার জারি করেছেন। হাইকোর্টের একটি আদেশ উদ্ধৃত করে এইমস বলেছে, চিকিৎসকরা এ ভাবে কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদে অংশ নিতে পারবেন না। চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ দিকে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। পরিষেবা পাওয়ার জন্য হাসপাতালে এসে হতাশ হতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের।
বলে রাখা ভালো, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তদন্ত শেষ করার জন্য পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেও তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হলে রাজ্য সরকার সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করবে।