উপরাষ্ট্রপতি পদে নতুন প্রার্থী বেছে নিল এনডিএ। রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা ঘোষণা করেন— ধনখড়ের পর উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হচ্ছেন বর্ষীয়ান নেতা চন্দ্রপুরম পোন্নুসামি রাধাকৃষ্ণণ।
প্রশ্ন উঠছে, কে এই রাধাকৃষ্ণণ? অভিজ্ঞতা ও আনুগত্যের কারণে তাঁকে বেছে নেওয়া হল, নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে দক্ষিণ ভারতে পদ্মশিবিরের সমর্থন বাড়ানোর বিশেষ কৌশল? রাজনৈতিক মহলে এই নিয়েই জল্পনা।
১৯৫৭ সালে তামিলনাড়ুর তিরুপুরে জন্ম রাধাকৃষ্ণণের। বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর আগে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন, পাশাপাশি সামলেছিলেন তেলঙ্গানা ও পুদুচেরির অতিরিক্ত দায়িত্বও। রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি ঝাড়খণ্ডের ২৪টি জেলায় ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছিলেন।
রাধাকৃষ্ণণের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) ও জনসঙ্ঘ দিয়ে। ১৯৭৪ সালে জনসঙ্ঘের তামিলনাড়ু রাজ্য কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্য হন তিনি। পরে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে কোয়েম্বত্তূর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ভারতের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যও ছিলেন।
রাজনীতি ছাড়াও রাধাকৃষ্ণণের আগ্রহ রয়েছে খেলাধুলায়। কলেজজীবনে তিনি টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, পাশাপাশি ক্রিকেট ও ভলিবল খেলায়ও দক্ষতা দেখিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাধাকৃষ্ণণকে উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন কেবল আনুগত্যের পুরস্কার নয়। এর মাধ্যমে বিজেপি দক্ষিণ ভারতে, বিশেষ করে তামিলনাড়ুতে, নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চাইছে। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন থাকায় এই সিদ্ধান্তকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এনডিএ-র শরিকরা ইতিমধ্যেই বিজেপির প্রস্তাবিত প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছে। বিরোধী শিবির থেকেও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের খবর।