কসবার আইন কলেজের এক ছাত্রীর ধর্ষণের অভিযোগে রাজ্যে চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় ধৃতদের। তাঁদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
ধৃতদের মধ্যে অন্যতম মনোজিৎ মিশ্র, যিনি ওই কলেজের প্রাক্তনী। তাঁকে ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধীদের দাবি, মনোজিৎ ও বাকি দুই অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত। যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের কঠোরতম শাস্তি চাই। ধর্ষকের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় হয় না।” তিনি আরও জানান, মনোজিৎ অতীতে সংগঠনের খুব ছোট একটি দায়িত্বে ছিল, তবে বর্তমান কমিটিতে তার নাম নেই। এখন সে কলেজের এক জন স্টাফ, এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে আর যুক্ত নয়।
তবে বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “কলকাতার কসবা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস গণধর্ষণের ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রভাবশালী নেতা। এই অপরাধ শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করেছে।” পাশাপাশি তিনি রাজ্য জুড়ে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে। দলের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়েছে, “কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। কাউকে রেয়াত করা হবে না, বিচার হবেই।”
রুদ্ধশ্বাস এই ঘটনায় একদিকে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ, অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলে চলেছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও অবস্থান গ্রহণ। শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা এবং রাজনীতির প্রভাব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে সমাজজুড়ে।