মিলছে না পেনশন, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিশ্বভারতীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা

ডেস্ক: বিশ্বভারতীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা পাচ্ছেন না পেনশন। বেজায় সমস্যায় পড়েছেন পেনশন প্রাপকরা। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিশ্বভারতীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। বিশ্বভারতীর আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা একটি চিঠিতে বিশ্বভারতীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা অবিলম্বে পেনশন চালু করার আবেদন জানিয়েছেন।


বর্তমানে প্রায় ৫০০ কর্মী, ৬০০ অধ্যাপক, ২০০ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং ৩০০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন বিশ্বভারতীতে। পাশাপাশি অন্তত ১৮০০ জন পেনশন পান। প্রত্যেককে প্রতি মাসে বেতন ও পেনশন দিতে বিশ্বভারতীর খরচ হয় প্রায় ২৪ কোটি টাকা।


পেনশন প্রাপকদের অভিযোগ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পেনশন দিচ্ছে না। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের জুন মাসের পেনশন তাঁরা এখনও পাননি। সুত্রের খবর, গত ৩০ জুন বেতন এবং পেনশন ইস্যু করার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত তা করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই করোনা পরিস্থিতিতে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন। ওই টাকায় সংসার চালানো কার্যত দায় হয়ে যাচ্ছে। বৃদ্ধ বয়সে পেনশনের টাকাটুকুও না মেলায় কার্যত বিপর্যস্ত পেনশন প্রাপকরা।

কী কারণে পেনশন দেওয়া হচ্ছে না, সে বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। করোনার সময় বিশ্বভারতীর পিয়ারসন হাসপাতাল থেকে পেনশন প্রাপকদের কোনরকম চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। টাকা দিতে চাইলেও তাঁরা চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ তাঁদের।

আরও পড়ুন: শুভেন্দু প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীর রহস্যমৃত্যু, খুনের অভিযোগে ৩ বছর পর দায়ের FIR

বিশ্বভারতী সূত্রে দাবি করা হয়েছে, যেহেতু এই করোনা পরিস্থিতিতে অর্ধেক কর্মী নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে, তাই বেতন বা পেনশন দেওয়ার বিষয়ে একটু দেরি হচ্ছে। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ ভাবে উড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, অধ্যাপক ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। রাজ্য সরকারও অর্ধেক কর্মী নিয়ে কাজ করছে তাও তারা সকলকে সময়েই মাইনে এবং পেনশন যদি দিতে পারে, তাহলে বিশ্বভারতী কেন পারবে না? এই নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন।

Related posts

পুজোয় নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দু’দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

ফাইনালের আগে সুপার ওভার থ্রিলারে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রিয়েলিটি চেক পেল ভারত, চিন্তা বোলিং নিয়ে

পুজোর ভিড় সামলাতে শিয়ালদহে বিশেষ ব্যবস্থা, চালু হচ্ছে ৩১টি স্পেশাল ট্রেন