মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে “অস্পষ্ট” ও “সম্পূর্ণ অবাস্তব” বলে উড়িয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। শনিবার কমিশনের পক্ষ থেকে কংগ্রেস নেতার অভিযোগের পাল্টা জবাবে পয়েন্ট ধরে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
কমিশন জানায়, “ভোটে অনুকূল ফল না হলে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা একেবারে অবাস্তব।”
এর আগে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে রাহুল দাবি করেন, মহারাষ্ট্রে ভোটের ফল বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার মতো করেই প্রভাবিত করা হয়েছিল। তিনি ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম ঢোকানোর অভিযোগ তোলেন।
এই অভিযোগের জবাবে নির্বাচন কমিশনের দাবি, পুরো ভোটপ্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে হয়েছে এবং প্রতিটি কেন্দ্রেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের বক্তব্য, কংগ্রেসের কোনও এজেন্ট ভোটগ্রহণের সময় কোনও অস্বাভাবিকতার অভিযোগ করেননি।
রাহুল আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের পদ্ধতিতে বদল এনে কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি (সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি)-কে বাদ দিয়ে নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে।
এই অভিযোগকেও “অপ্রমাণিত” বলে উড়িয়ে দিয়ে কমিশন জানায়, কংগ্রেস আগেও এই ধরনের অভিযোগ তুলেছিল,। ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর সেই অভিযোগের বিস্তারিত উত্তর দিয়েছিল কমিশন। যা এখনও কমিশনের ওয়েবসাইটে রয়েছে।
কমিশনের বক্তব্য, “এই সমস্ত তথ্য এত দিন আগে প্রকাশ করা সত্ত্বেও, বার বার একই অভিযোগ তুলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”