পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষিতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা এবং প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য প্রতিরক্ষা বাজেটে অতিরিক্ত জোর দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই একটি পরিপূরক বাজেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৫০,০০০ কোটি টাকার বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা শীতকালীন সংসদ অধিবেশনে অনুমোদন পেতে পারে।
এই অতিরিক্ত বরাদ্দের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা, অত্যাবশ্যকীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং গবেষণা ও উন্নয়নের খাতে অর্থ বরাদ্দের সম্ভাবনা রয়েছে।
চলতি অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে রেকর্ড ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৯.৫৩ শতাংশ বেশি।
গত দশ বছরে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিরক্ষা বাজেট প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৪-১৫ সালে বাজেট ছিল ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকা, আর ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১৩.৪৫ শতাংশ।
অপারেশন সিঁদুরে, সীমান্ত অতিক্রম না করেই পাকিস্তানের ভিতরে থাকা ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারত নিজের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরেছে।
এই সংঘর্ষের সময় ভারতের বহুস্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দক্ষতা স্পষ্ট হয়। দেশীয় প্রযুক্তির পাশাপাশি রাশিয়ান এস-৪০০ ‘ত্রাইউম্ফ’, মাঝারি পাল্লার বরাক-৮, এবং দেশীয় আকাশ মিসাইল ব্যবস্থাও মোতায়েন করা হয়। সেই সঙ্গে যুদ্ধ পরীক্ষিত পেচোরা, ওএসএ-একেএ এবং নিচু স্তরের এলএলএডি গানও ব্যবহৃত হয়।
অপারেশন সিঁদুরে ভারতের নিজস্ব উন্নত অস্ত্রের কার্যকারিতা প্রমাণিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১২ মে এক ভাষণে বলেন, “এই অভিযানে আমাদের ‘মেড-ইন-ইন্ডিয়া’ অস্ত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ব এখন বুঝেছে যে ২১ শতকের যুদ্ধে ভারতের তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের সময় এসে গেছে।”