নয়াদিল্লি: এ বারের লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। সরকার গঠনে শরিকদের উপর অত্য়ধিক নির্ভর করতে হয়েছে। এই ‘পরনির্ভরতা’কে যেমন এক দিকে ঠুকছে বিরোধী দলগুলি, তেমনই তীব্র সমালোচনা করতে ছাড়ছে না বিজেপি ‘মেন্টর’ সংগঠন আরএসএস।
সম্প্রতি আরএসএস-এর মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’-এ ‘মোদী ৩.০: সঠিক পথ বাছাই করার জন্য বার্তালাপ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন লিখেছেন আরএসএস সদস্য রতন শারদা। যাতে লেখা হয়েছে, বিজেপির বহু নেতা নিজেদের জগতেই হারিয়ে ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর ক্যারিশ্মার ওপরে নির্ভর করে ছিলেন। তবে মানুষের কথা তাদের কানে যাচ্ছিল না। ওই প্রতিবেদনে রতন স্পষ্টতই লিখেছেন, “বিজেপিকে আরএসএস চালায় না। তবে ভোটের ময়দানে স্বয়ংসেবকদের কাছে পৌঁছে সাহায্য পর্যন্ত চায়নি বিজেপি।”
ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন খোদ আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সোমবারই ভাগবত এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘এক সত্যিকারের সেবকের কোনও অহংকার থাকে না।’ তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে জোর জল্পনা ও চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এ ছাড়াও ভাগবত কার্যত অভিযোগের সুরেই বলেন, ‘‘ভোটে লড়ার সময়ে একটা মর্যাদা থাকা উচিত। সেই মর্যাদার পালন করা হয়নি।” পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ, বিরোধী নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতে হবে বিরোধীদের। তাঁর মতে, বিরোধীরা অন্য ভাবনাকে তুলে ধরেন। তাই রাজনীতিতে বিরোধীদের গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এত দিন বিজেপি শক্তিশালী থাকায় সে ভাবে মুখ খোলেননি সঙ্ঘ নেতৃত্ব। এ বারের ভোটের পরে স্পষ্ট যে, বিজেপির সেই সংখ্যার জোর আর নেই। তারা শরিক নির্ভর। যে কারণে প্রকাশ্যে মুখ খোলা শুরু করেছেন শীর্ষ সঙ্ঘ নেতৃত্ব।