প্রথম পাতা খবর দুই রাজ্যে একই এপিক নম্বর! দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনকে ২৪ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের

দুই রাজ্যে একই এপিক নম্বর! দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনকে ২৪ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের

225 views
A+A-
Reset

একই এপিক নম্বরে দুই রাজ্যে ভোটার কার্ড! নির্বাচন কমিশন ব্যাখ্যা দিলেও, কারচুপির অভিযোগ তুলে বিজেপি ও কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ, কীর্তি আজাদ ও ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁদের দাবি, এটি শুধুই অনিয়ম নয়, বরং গুরুতর কেলেঙ্কারি। কমিশনের সঙ্গে যোগসাজস করে বিজেপি ভোটে কারচুপি করছে বলে অভিযোগ তাঁদের।

রাজ্যসভার তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন সাফ জানান, “ভোটের সময় ভিনরাজ্য থেকে ভোটার আনতেই বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের এই যোগসাজস। এখনও কমিশন ভুল স্বীকার করেনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে ভুল স্বীকার করতেই হবে, না হলে আমরা নতুন তথ্য সামনে আনব।” তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার মধ্যে নতুন তথ্য প্রকাশ করা হবে এবং ১০০ দিনের মধ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবি তুললেন।

সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, “একজন ভোটারের এপিক নম্বর যদি অন্য রাজ্যের ভোটারের সঙ্গেও মিলে যায়, তাহলে সেটা কীভাবে সম্ভব? গাড়ির লাইসেন্স কি ডুপ্লিকেট হয়? আধার কার্ডের নম্বর কি একাধিক ব্যক্তির হতে পারে? তাহলে ভোটার কার্ডের নম্বর কীভাবে ডুপ্লিকেট হয়? এটা একটা কেলেঙ্কারি, এটা ফৌজদারি অপরাধ। প্রয়োজন হলে আমরা বিজেপি নেতাদের নাম প্রকাশ করব, যাঁরা কমিশনের সঙ্গে যোগসাজস করেছেন।”

রবিবার নির্বাচন কমিশন বিবৃতি দিয়ে জানায়, “দুই রাজ্যের দুই পৃথক ভোটারের একই এপিক নম্বর থাকলেও, তাঁরা ভুয়ো ভোটার নন। তবে ভবিষ্যতে ইউনিক এপিক নম্বর রাখার বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।”

এদিকে, বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জাতীয় নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, এপিক নম্বর ইউনিক নয়। প্যান বা আধার কার্ডের মতো একক নম্বর হয় না। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকেরা এপিক নম্বর নির্ধারণ করেন, ফলে মিল হতে পারে।” বরং উল্টে তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলে তিনি বলেন, “বাংলায় ১৭ লক্ষ ভোটারের নাম, বাবার নাম, বয়স ও ভোটকেন্দ্র এক! আমরা তা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছি।”

এই ইস্যুকে সামনে রেখে বিরোধীদের তীব্র আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন দেখার, কমিশন আদৌ তাদের দাবির কোনো সদুত্তর দেয় কি না।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.