লোকসভা ভোট ২০২৪-এ। হাতে আর এক বছরেরও কম সময়। এরই মধ্যে অপরাধের রেকর্ড রয়েছে এমন
ব্যক্তিদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে বড়ো পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট।
ভোটে প্রার্থী হওয়া অপরাধীদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে শুক্রবার দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত এবং বহু প্রতীক্ষিত প্রতিক্রিয়া দাখিল করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। কোনো জঘন্য অপরাধের ইতিহাস বা অভিযোগ রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ঠেকাতে আবেদন জানানো হয়েছিল ওই পিআইএল-এ।
উল্লিখিত আবেদনে প্রার্থীতালিকা থেকে এমন প্রার্থীদের বর্জন করার দাবি জানানো হয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে ট্রায়াল কোর্টে কোনো জঘন্য অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে এবং তাঁদের চরিত্র ও মূল্যবোধ নিয়েও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বি ভি নাগরত্নর বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, “জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে আমাদের প্রত্যেকের চরিত্র ও মূল্যবোধ থাকতে হবে। দুর্নীতির ভয়াবহতা দেখুন। পশ্চিমী দেশগুলোতে সাধারণ মানুষ কখোই এতে বিভোর হয় না। এখানে তৃণমূল স্তরেও দুর্নীতি রয়েছে। এটাই আসল সমস্যা”।
জনস্বার্থ মামলাটির আবেদনকারী অ্যাডভোকেট অশ্বিনী উপাধ্যায় যুক্তি দিয়েছিলেন যে একজন সরকারী কর্মচারী, যাঁর বিরুদ্ধে কিছু জঘন্য অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে যদি বরখাস্ত করা যায় তবে কেন একজন রাজনীতিবিদ বা প্রার্থী যাঁর অপরাধমূলক ইতিহাস প্রতিষ্ঠিত বা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, তার সঙ্গে একই আচরণ করা যাবে না?
শুনানির শেষ পর্বে কেন্দ্রীয় সরকার এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে তাদের নিজস্ব জবাব চেয়েছে আদালত। এর জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী এপ্রিলে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।