কসবায় আইন কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় নতুন মোড়। শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই কলেজেরই নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর বয়স ৫৫। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র-সহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পিনাকী এই ঘটনায় চতুর্থ গ্রেপ্তার।
ঘটনাটি ঘটে ২৫ জুন, বুধবার। নির্যাতিতার অভিযোগ, কলেজ চত্বরে নিরাপত্তারক্ষীর ঘরেই তাঁকে হকি স্টিক দিয়ে মারধর করা হয়। সেই সময় মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। অথচ নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেও কোনও রকম হস্তক্ষেপ করেননি। ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করলে তাঁর ভূমিকাই উঠে আসে সন্দেহের কেন্দ্রে। অবশেষে তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, কলেজে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও অন্য গার্ডরা কোথায় ছিলেন? তাঁরা কি কিছু জানতেন না? পিনাকীর সঙ্গে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে তদন্তকারীরা উদ্বিগ্ন। সেই সূত্র ধরেই আরও তথ্য জোগাড়ে তৎপর পুলিশ।
এই ঘটনার জেরে কলেজ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর আর কীভাবে এমন একটি গুরুতর অপরাধ ঘটল, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অভিযুক্তরা কাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় বা প্রভাব ছিল কি না, সেই দিকেও নজর দিচ্ছে তদন্তকারীরা। ঘটনাটি এখন শুধু অপরাধমূলক তদন্ত নয়, কলেজের গাফিলতি ও প্রশাসনিক দায়ের দিকেও ইঙ্গিত করছে।