কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনার জেরে সোমবার থেকে এয়ার ফ্রান্স, লুফথানসা-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা পাকিস্তানি আকাশসীমা এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইট ট্র্যাকিং সংস্থাগুলির তথ্য অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্তের ফলে এশিয়ার বহু গন্তব্যে বিমানযাত্রার সময় বেড়ে যাবে।
ভারত ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি এয়ারলাইন্সগুলির জন্য আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানও ভারতের মালিকানাধীন বা পরিচালিত বিমান সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ করেছে। পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিশেষ ভিসা পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলিকে পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট Flightradar24-এর তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস ও এমিরেটস-এর কিছু ফ্লাইট আরব সাগর পেরিয়ে পাকিস্তান এড়িয়ে উত্তর দিকে দিল্লির দিকে ঘুরে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও এমিরেটস এ বিষয়ে এখনো কোনও মন্তব্য করেনি।
এয়ার ফ্রান্স জানিয়েছে, “ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের ওপর দিয়ে বিমান চলাচল আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।” তারা দিল্লি, ব্যাংকক ও হো চি মিনের মতো গন্তব্যগুলির রুট ও শিডিউলে পরিবর্তন এনেছে, যার ফলে যাত্রার সময় দীর্ঘ হচ্ছে।
এই দীর্ঘ রুট ও অতিরিক্ত জ্বালানির ব্যয় ছাড়াও, পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের ফি থেকেও তারা রাজস্ব হারাতে পারে। একটি বিমানের ওজন ও দূরত্বের উপর নির্ভর করে এই ফি প্রতি ফ্লাইটে কয়েকশো ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তরফে এই বিষয়ে এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।