কলকাতা: উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে স্থানীয়দের রোষে পড়ে ইডি। এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে বিজেপি। মুখ খুলেছেন স্বয়ং রাজ্যপাল। শুক্রবার বিকেলে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
সন্দেশখালির বিষয় নিয়ে শশী পাঁজা বলেন, “দুটো বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। প্রথমত, বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার এই চিত্রনাট্য চলতেই থাকবে। সামনে নির্বাচন আছে। আর দ্বিতীয়ত রয়েছে যে রাজ্য সরকারের উপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারা (ইডি) যে আসবে তা রাজ্য সরকার জানতোই না”।
তাঁর কথায়, “সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস কোনো হিংসার ঘটনাকে সমর্থন করে না। তাই এলাকার বাসিন্দাদের অনুরোধ করছি, এটা বুঝবেন একটা ষড়যন্ত্র। এটা বাংলার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। এটা পরিষ্কার বুঝে যেতে হবে যে প্রতিদিন কেউ কেউ আগুন জ্বালাতে চায়। তারা আগুন নিয়ে খেলছে। এর জন্য ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বাংলার। সুতরাং এই ফাঁদে পা দেবেন না। রাজ্য় সরকার এই বিষয়টা দেখছে। এটা আশ্বস্ত করতে পারি। বাকি তদন্তকারী এজেন্সি তাদের মতো তদন্ত করতে পারে। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে যদি শুনতে হয়, তদন্তকারী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য় এসেছে, তা হলে সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক”।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হতে সকালেই মুখ খোলে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সন্দেশখালির ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু শুধু তৃণমূলকে বেইজ্জত করবে বলে বিজেপির নির্দেশে কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তল্লাশির নামে প্ররোচনা দিচ্ছে।”