ফের রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় কি আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে চলেছেন?
দার্জিলিঙে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় দু’ঘণ্টার বৈঠক ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দার্জিলিঙের রিচমন্ড হিলে। সেই সময় পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন শোভন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মমতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন একাই শোভন।
সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে না এলেও, দলীয় সূত্রে অনুমান— পুরনো সম্পর্কের বরফ গলছে ধীরে ধীরে।
এর আগে সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে বৈশাখী উপস্থিত ছিলেন।
এর এক মাসও কাটল না, তার মধ্যেই মমতার সঙ্গে পাহাড়ে দেখা করে ফেললেন প্রাক্তন মেয়র।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সাক্ষাৎ নিছক সৌজন্য নয় — বরং শোভনের রাজনৈতিক পুনরুত্থানের ইঙ্গিতবাহী।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভা ঘিরেও শোভনের ফেরার জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা রয়ে গিয়েছিল গুঞ্জন হিসেবেই।
তবে এবার মমতা ও অভিষেক— দু’জনের সঙ্গেই একমাসের ব্যবধানে বৈঠক হওয়ার পর, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, “শোভন চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের রাজনীতির পরিচিত মুখ। তাঁর প্রত্যাবর্তন তৃণমূলের সংগঠনে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে।”
সব মিলিয়ে, দার্জিলিঙের পাহাড়ি হাওয়া যেন আবারও রাজ্য রাজনীতিতে নতুন জল্পনার আগুন জ্বেলে দিয়েছে। ‘কানন’-এর তৃণমূলে ফেরা এবার কি সত্যি হতে চলেছে? — তার উত্তর পেতে রাজ্য রাজনীতিকে কিছুটা অপেক্ষা করতেই হবে।