এসএসসি নিয়োগ পরীক্ষার দিনক্ষণ পিছোনোর সম্ভাবনায় খানিকটা স্বস্তি পেলেন ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, রাজ্য সরকার চাইলে পরীক্ষার দিন পিছিয়ে দিতে পারে, শীর্ষ আদালত সে আবেদন বিবেচনা করবে। একইসঙ্গে চাকরিরত প্রার্থীদের ফর্ম ফিল-আপ করার জন্য আরও সাত দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্যানেলকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রাতারাতি চাকরি খোয়ান প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। তবে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা সচল রাখতে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের স্কুলে পড়ানোর অনুমতি দিয়েছে আদালত। এদিকে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেইমতো আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা নির্ধারিত হয়েছে।
কিন্তু প্রতিদিন নিয়মিত স্কুলে হাজিরা ও পড়ানোর দায়িত্ব সামলে নতুন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষকরা। তাই তাঁরা পরীক্ষা পিছনোর আবেদন জানান। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি, এবারেও স্নাতক স্তরে ৪৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। সরকারের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, NCERT-এর নিয়ম মেনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকলেই কেবল পরীক্ষায় বসার সুযোগ মেলে।
বৃহস্পতিবার শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের কড়া মন্তব্য,
“আপনারা যোগ্যদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের বাঁচাতে চাইছেন, এটা অত্যন্ত হতাশাজনক। এখনও কি নিজেদের পছন্দের অযোগ্য প্রার্থীদের ঢোকাতে চান? এটা লজ্জাজনক!”
তিনি আরও স্পষ্ট করে দেন, যারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে শিক্ষকতা করছেন, সবাইকে পরীক্ষার অনুমতি দিতে হবে।
ফলে, রাজ্য সরকার চাইলে পরীক্ষার দিন পিছনোর সম্ভাবনা থাকায় খানিকটা স্বস্তি ফিরল চাকরিরত প্রার্থীদের মুখে।