কলকাতা: মুখ্যসচিবকে ছাড়তে পারবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হঠাৎ কেন্দ্রের ডাকে বিতর্ক চলছিল রাজ্য রাজনীতিতে। আজই নয়াদিল্লিতে গিয়ে রিপোর্ট করার কথা ছিল আলাপনের। কিন্তু জল্পনাকে বাস্তবের রূপ দিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন না তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঁচ পাতার এক দীর্ঘ চিঠিতে এই কথা জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজই নয়াদিল্লিতে গিয়ে রিপোর্ট করার কথা ছিল আলাপনের। কিন্তু জল্পনাকে বাস্তবের রূপ দিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন না তিনি। একইসঙ্গে আশা মতোই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সঙ্গে কোনও পরামর্শ না করে, কেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নর্থ ব্লকে কাজে যোগ দিতে বলা হল? এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এই ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন বলে ব্যাখ্যা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, গোটা ঘটনায় তিনি অত্য়ন্ত হতবাক এবং মর্মাহত।
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে নেওয়ার নির্দেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন তিনি। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি।
কেন্দ্রীয় সরকার একতরফাভাবে এই নির্দেশ জারি করে অসাংবিধানিক কাজ করেছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যসচিব হিসেবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষভাবে প্রয়োজন। রাজ্য সরকার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও ৩ মাস মুখ্যসচিব হিসেবে পেতে চায়। ‘
মাত্র দিনকয়েক আগেই মুখ্যসচিবের মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৩১ মে মুখ্যসচিবের চাকরি জীবনের শেষ দিন হলেও আমাদের অনুরোধে তাঁর তিন মাস চাকরি জীবন বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। কোভিড পরস্থিতির কারণেই এই আবেদন ছিল আমাদের তরফে। কিন্তু এমন কী হল যে, তাঁকে ডেকে নেওয়া হচ্ছে!’
মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘বাংলার মানুষের জন্য এখন কঠিন সময়। তাই মানুষের কথা ভেবে এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিন।’
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি নিয়মমাফিক প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক চেয়েছিলাম। বৈঠকের কাঠামো বদলে আপনার দলের স্থানীয় বিধায়ককে ডাকলেন। আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে তাঁর থাকার এক্তিয়ার নেই। মাননীয় রাজ্যপাল ও কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আপনি ডেকেছিলেন। আপনিও জানেন, মাননীয় রাজ্যপালের ওই বৈঠকে কোনও ভূমিকা নেই।’