কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। সোমবার উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতিকে একটি ইমেল পাঠিয়ে সাত দফা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূল অভিযুক্তদের বহিষ্কার, নিরাপত্তা সংস্থাকে শো-কজ, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ— একাধিক নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে অবিলম্বে।
চিঠিতে উল্লেখ, ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত অস্থায়ী কর্মী ‘এম’-কে সরাসরি কলেজ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। সেই সঙ্গে গণধর্ষণে যুক্ত থাকার অভিযোগে দুই পড়ুয়া ‘জে’ ও ‘পি’-কে বরখাস্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সরকারের বাকি নির্দেশগুলি হল:
- বহিরাগত বা প্রাক্তন পড়ুয়ারা যাতে আর কলেজ চত্বরে প্রবেশ না করতে পারেন, তা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
- কলেজের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা সংস্থাকে শো-কজ করতে হবে এবং তাদের কাজের গাফিলতির ব্যাখ্যা চাইতে হবে। প্রয়োজনে ব্ল্যাকলিস্ট করা হবে।
- কলেজের ইন্টারনাল কমপ্লেন্ট বা ‘বিশাখা কমিটি’-কে দ্রুত বৈঠক ডাকতে হবে।
- অফিস আওয়ার শেষ হওয়ার পর কলেজ ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ ফাঁকা রাখতে হবে।
- ক্যাম্পাসে আরও সিসিটিভি লাগানো প্রয়োজন কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।
এই নির্দেশগুলি কার্যকর করতে খুব শীঘ্রই কলেজ পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। সম্ভবত আগামী মঙ্গলবার সেই বৈঠক বসবে।
প্রসঙ্গত, ঘটনার মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য এবং কলেজের অস্থায়ী কর্মী ‘এম’। অভিযোগ, গত ২৫ জুন সন্ধ্যায় ইউনিয়ন রুম ও গার্ড রুমে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। বাকি দুই ছাত্র, ‘জে’ ও ‘পি’, পাহারায় ছিল বলে নির্যাতিতার দাবি। তাঁকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। এমনকি নিরাপত্তারক্ষীকেও জানিয়েও কোনও সাড়া মেলেনি।
ছাত্রী জানান, শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের ছত্রছায়ায় থাকায় অভিযুক্তদের দাপট ছিল কলেজে। ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এলে তাঁর প্রেমিককে খুন ও বাবা-মাকে জেলে পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।