দিন চারেক আগে আশুতোষ কলেজ থেকে ভ্রমণে গিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার দুপুরেই তাঁদের ফেরার কথা ছিল। তার আগেই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা।
গত মঙ্গলবার আশুতোষ কলেজের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের তৃতীয় সেমেস্টারের পড়ুয়া ও শিক্ষদের দল রওনা দেন বারবিলের উদ্দেশে। এক্সকারসনে তাঁরা বিভিন্ন কল-কারখানা পরিদর্শনে যান। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের কলকাতায় ফেরার ট্রেন ছিল। এ দিন বারবিল থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি নদী ও জলপ্রপাত দেখার জন্য দলটি থামে। পাথুরে রাস্তার ধারে সেই জলপ্রপাত দেখার সময়েই বিপত্তি ঘটে।
জলপ্রপাত থেকে একেবারে ২০ ফুট নীচে পড়ে গেলেন দুই ছাত্র। এক ছাত্র সামান্য চোট পেলেও অপর ছাত্রের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। কলকাতার আশুতোষ কলেজের স্নাতকোত্তরের পড়ুয়া তারাশঙ্কর সরকারের খোঁজ পেতে মরিয়া পরিবার। আরামবাগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানার্জিপাড়ার বাসিন্দা তারাশঙ্কর কলকাতার আশুতোষ কলেজের এনভারনমেন্টাল সায়েন্সের এমএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, কলেজ থেকে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পড়ুয়াদের। ফেরার পথে ওড়িশার কেওনঝড়ে একটি জলপ্রপাতে নামেন তাঁরা। সেই সময়ে দুই ছাত্র পড়ে যান বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একজন পড়ুয়া গিয়ে পড়ে খাদে। অন্য জন ঝুলতে থাকে।’ সেই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাকিরা। দৌড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে গিয়ে পা ভেঙে গুরুতর আহত হন কলেজের শিক্ষক অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। নদীর খাদে ঝুলতে থাকা ওই ছাত্র নীলাব্জ গুপ্তকে উদ্ধার করা গেলেও, তারাশঙ্কর সরকার পড়ে যান। প্রায় কুড়ি ফুট নীচে পড়ে যান তারাশঙ্কর। জলের তোড়ে ভেসে যান তিনি। তারপর আর তাঁর কোনও খোঁজে পাওয়া যায়নি।