চিহ্নিত ‘অযোগ্য’ শিক্ষক-অশিক্ষকদের নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া এবং এপ্রিল মাসের বেতন প্রাপ্যতার আবেদন— দু’টিই খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ওএমআর শিটে কারচুপি প্রমাণিত হলে তাঁরা আর নিয়োগের সুযোগ পাবেন না।
২০১৬ সালের বাতিল হওয়া এসএসসি প্যানেলকে কেন্দ্র করেই মূলত এই মামলার সূত্রপাত। সেই প্যানেলের ভিত্তিতে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁদের মধ্যে সাত হাজারেরও বেশি চিহ্নিত হন ‘অযোগ্য’ হিসেবে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, চলতি বছরের মধ্যেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সেই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চেয়ে এবং বকেয়া বেতনের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশ।
তাঁদের যুক্তি ছিল, সিবিআই ও এসএসসির কাছে থাকা একই ওএমআর শিটে নম্বরের অসঙ্গতি রয়েছে। সেই কারণে নতুন নিয়োগে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ৩ এপ্রিল ঘোষিত রায়ে কোনও পরিবর্তন হবে না। ফলে নিয়মভঙ্গ করে চাকরি পাওয়া কর্মীরা আর দ্বিতীয় সুযোগ পাচ্ছেন না।
আইনজীবীরা যুক্তি দেন, ‘অযোগ্য’দের মধ্যে তিন ধরনের প্রার্থী রয়েছেন— কেউ প্যানেলবহির্ভূত, কেউ সাদা খাতা জমা দিয়ে, কেউ আবার মেয়াদোত্তীর্ণ প্যানেলের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু আদালত সেই যুক্তিকে গুরুত্ব না দিয়ে জানায়, এখন আর যোগ্যতা নিয়ে নতুন করে আলোচনার সুযোগ নেই।