আগামী কাল ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে বহুল চর্চিত ডিএ মামলার। আজ বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সময় প্রথমেই প্রশ্ন ওঠে— ডিএ কি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার, না আইনি অধিকার?
রাজ্যের তরফে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল ও শ্যাম দিওয়ান সওয়াল করে জানান, ডিএ মৌলিক অধিকার নয়, এবং রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করে ডিএ দেওয়া হবে কি না। সিবালের বক্তব্য, দেশে অন্তত ১৩টি রাজ্য আছে যারা কেন্দ্রীয় নিয়ম না মেনে নিজেদের মতো করে ডিএ দেয়। তাই কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।
সরকারি কর্মীদের পক্ষের আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম বলেন, বহু রাজ্য কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেয় এবং তার ভিত্তি কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স। তিনি ডিএ-কে মৌলিক অধিকার না বললেও একে ‘আইনি অধিকার’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।
বিচারপতি কারোল স্পষ্ট জানান, এই মামলায় কোনো পক্ষই ডিএ-কে মৌলিক অধিকার বলে দাবি করছে না। তিনি বলেন, “আপনারা যদি মনে করেন বকেয়া ডিএ পুরো দেওয়া যাবে না, অন্তত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ এখন দিয়ে দিন। পরে চূড়ান্ত রায় হলে যা হবে।”
বিচারপতি মিশ্র কপিল সিবালকে সরাসরি বলেন, “আপনি কেন আপনার রাজ্যকে বলছেন না আপাতত মোট বকেয়ার ২৫ শতাংশ দিয়ে দিতে?”
রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না, ফলে রাজ্যকেই পকেট থেকে খরচ করতে হচ্ছে। সিবাল বলেন, “এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে বাধ্য করা হলে ডিএ দিতে ঋণ করতে হবে।”
আজকের শুনানি শেষে মামলাটি স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামীকাল ফের শুনানি হবে ডিএ মামলার।