ওয়াকফ সংশোধনী আইন চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ওঠা ৭৩টি মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে একের পর এক প্রশ্ন তুলল প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। বিশেষ করে ‘ওয়াকফ বাই ইউজার’ ধারা এবং ওয়াকফ কাউন্সিলে অ-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “দিল্লি হাইকোর্ট নাকি ওয়াকফ জমিতে তৈরি। ওবেয়র হোটেলও ওয়াকফ জমিতে! সবই যদি ওয়াকফ বাই ইউজার হয়, তবে তদন্ত ছাড়া কীভাবে তালিকাভুক্ত হবে?” আদালত জানিয়ে দেয়, যতদিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, ততদিন কোনও বিতর্কিত সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলা যাবে না।
কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “ওয়াকফ সম্পত্তিতে মন্দির বা দোকান থাকলেও তা বন্ধ করার কথা বলা হয়নি। কেবল সুবিধা বন্ধ থাকবে যতদিন না কেন্দ্র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।”
প্রধান বিচারপতির পাল্টা প্রশ্ন, “তাহলে ওই দোকানের ভাড়া কোথায় যাবে? আইনে কি স্পষ্ট বলা হয়েছে?”
‘হিন্দু বোর্ডে মুসলিমদের নেবেন?’—এই প্রশ্ন তুলে ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিম অন্তর্ভুক্তি কতটা যুক্তিসঙ্গত, সে বিষয়ে জানতে চায় সর্বোচ্চ আদালত।
কপিল সিব্বাল বলেন, “ইসলামে উত্তরাধিকার মৃত্যুর পরে হয়। রাজ্য সরকার সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।” আদালত অবশ্য জানায়, ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদ ধর্মীয় স্বাধীনতা দিলেও আইন প্রণয়নে বাধা নয়।
আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, বিতর্কিত সম্পত্তি কোনও অবস্থাতেই এখন ওয়াকফ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয়।