কলকাতা: বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে চলছে জোর চর্চা। সেই সৌজন্য সাক্ষাতের পর দিনই তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
গত শুক্রবার বিধানসভায় শুভেন্দুকে বিধানসভায় নিজের ঘরে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দু ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, অশোক লাহিড়ি এবং মনোজ টিগ্গা। জানা যায়, ঘরে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন বিরোধী দলনেতা। দু’ জনের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়৷ মাত্র তিন-চার মিনিটের এই সাক্ষাৎই গতকাল থেকে রাজ্য রাজনীতির চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
তবে ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই রাজ্য সরকারকে ফের একহাত নিলেন শুভেন্দু। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ফের সরব তিনি।
শনিবার সকালে একটি টুইটে শুভেন্দু লেখেন, “দুর্নীতি করে কেনা অবৈধ নিয়োগ যে ভাবে মন্ত্রীসভা বাঁচানোর চেষ্টা করছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। এটা যদি সাংবিধানিক সঙ্কট না হয়, তা হলে আর কী হবে? তৃণমূল সরকারের হাতে বাংলা রসাতলে যাচ্ছে। বাংলায় বর্তমানে এক ‘আল্ট্রা ইমার্জেন্সি’র অবস্থা।”
টুইটে জুড়েছেন রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের লেটারহেডে লেখা একটি বিষয়বস্তু। যার একটি পাতায় লেখা আছে, ৫ হাজার ২৬১টি সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করার প্রস্তাব। এর মধ্যে নবম-দশমের জন্য ১ হাজার ৯৩২টি পদ, একাদশ-দ্বাদশের জন্য ২৪৭টি পদ।
উল্লেখ্য, মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির ব্যাপারে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, সংবিধান নিয়ে যা খুশি তাই করা যায় না। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, অবৈধদের বাঁচানোর জন্যই কি এই অতিরিক্ত শূন্যপদ?