কলকাতা: বহুদিনের জল্পনা অবশেষে সত্যি হল। তাজপুর গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেওয়া হল আদানি গোষ্ঠীকে। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। আদানিদের ইতিমধ্যেই সরকারি ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে টেন্ডার বাতিলের সিদ্ধান্ত।
২০২০ সালে গ্লোবাল টেন্ডার ডেকে আদানিদের হাতে তাজপুর বন্দর গড়ার দায়িত্ব দিয়েছিল রাজ্য। ২০২২ সালে দেওয়া হয় ‘লেটার অফ ইনটেন্ট’। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কাজ শুরু হয়নি। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের অনুমতি না মেলার কারণেই টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে।
সূত্র বলছে, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে শেয়ার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই আদানি গোষ্ঠী নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। ওড়িশার ধামড়া ও পারাদ্বীপ বন্দরে আদানিদের আধিপত্য থাকায়, তাজপুরে নতুন বন্দর গড়ার যুক্তিও প্রশ্নের মুখে পড়ে। তদুপরি, তাদের যন্ত্রনির্ভর মডেলে এক লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন।
তাজপুর বন্দরের পরিকাঠামোগত সমস্যাও অন্যতম কারণ। বন্দর থেকে রেল ও হাইওয়ের দূরত্ব যথাক্রমে ৯ ও ৫ কিলোমিটার। মাঝখানে জনবসতি। ফলে জমি অধিগ্রহণ এবং পুনর্বাসন রাজ্যের নীতির সঙ্গে খাপ খায় না। সবমিলিয়ে বন্দর প্রকল্পের ভবিষ্যৎ ঘিরে নতুন করে ভাবনা শুরু করল নবান্ন।