বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোটগ্রহণ চলছে তেলঙ্গনার সমস্ত (১১৯টি) বিধানসভা কেন্দ্রে। সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। রাজ্যের মোট ৩ কোটি ১৭ লক্ষ ভোটার ১০৯টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দলের ২ হাজার ২৯০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। ৩ ডিসেম্বর ভোট গণনা হবে।
ক্ষমতাসীন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) গত ১০ বছরে দলের পারফরম্যান্স এবং প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে। রাজ্যে নিজের প্রথম সরকার গঠনের পক্ষে সমর্থন চাইছে কংগ্রেস। অন্য দিকে, বিআরএসের “দুঃশাসন ও দুর্নীতি” শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বিজেপি।
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে দুটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। গজওয়েল এবং কামারেড্ডি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। গজওয়েল আসনে মোট ৪০ জন এবং কামারেড্ডি আসনে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তেলঙ্গনা বিধানসভা নির্বাচনে সকলের নজরে রয়েছে গজওয়েল বিধানসভা কেন্দ্রটি। বিআরএস প্রার্থী এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বলে রাখা ভালো, তেলঙ্গনা পৃথক রাজ্য হওয়ার পরে অনুষ্ঠিত হওয়া দু’টি বিধানসভা নির্বাচনে, শুধুমাত্র কে চন্দ্রশেখর রাও গজওয়েল আসন থেকে জিতেছিলেন। এ বার বিজেপি কেসিআর-এর বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামিয়েছে এটেলা রাজেন্দ্রকে। অন্য দিকে, ঠুমকুন্তা নরাসা রেড্ডিকে টিকিট দিয়েছে কংগ্রেস।
শুধু তাই নয়, কামারেড্ডি বিধানসভা আসন থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেসিআর। বিজেপি কে ভেঙ্কটরমন রেড্ডিকে কেসিআরের বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে, আর কংগ্রেস রেভান্থ রেড্ডিকে প্রার্থী করেছে। এখন দেখার, কংগ্রেস-বিজেপির জোড়া ফলা অতিক্রম করে তৃতীয় বার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হয় কি না কেসিআরের!