ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি অসমে। এখনও ২৬টি জেলার ১০৮৯টির বেশি গ্রাম জলের তলায়। বন্যা এবং ভুমিধসের কারণে এখনও পর্যন্ত সেখানে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছয়লক্ষের বেশি মানুষ অবিরাম বৃষ্টি এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কাছাড়, উদালগুড়ি, ডিমা হাসাওতে বন্যায় যেমন মৃত্যু হয়েছে, অন্যদিকে লখিমপুরে ভূমিধসেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স, স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সকে বন্যা মোকাবিলায় নামানো হয়েছে। বন্যায় আটকে থাকা প্রায় ৩হাজার ৪২৭ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।জেলা প্রশাসনের তরফে ১৪২টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। পাশাপাশি ১১৫টি আশ্রয় শিবিরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে কামপুর ও ধরমতুলে কপিলি নদী, নাংলামুরাঘাটে ডিসাং নদী, এপিঘাটে বরাক নদী এভং করিমগঞ্জে কুশিয়ারা নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বাইছে।
অবিরাম বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে অসমের বরাক উপত্যকা ও ডিমা হাসাও জেলা এবং প্রতিবেশী ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মনিপুরের সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করা থেকে উদ্ধার কাজে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে চলেছে। সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী ছাড়াও, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স, স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স এবং রাজ্য পুলিশের দমকল ও জরুরি পরিষেবা দফতর বাড়িতে আটকে পড়াদের উদ্ধার করছে। ২৭ টি জেলা প্রশাসন ১৪২ টি ত্রাণ শিবির এবং ১১৫ টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।