নয়াদিল্লি : মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এমনিতেই করোনার কারণে অর্থনীতির শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কম , তার পর বস্ত্রশিল্পে জিএসটি বাড়িয়ে তাকে একে বরে কোমায় পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যের বিরোধিতায় শেষ পর্যন্ত পিছু হঠতে হল অর্থমন্ত্রকে। শুক্রবার অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে জিএসটি বৃদ্ধি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ জানুয়ারি থেকে বস্ত্রশিল্পের উপর জিএসটি পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কিন্তু এর তীব্র বিরোধিতা করে একাধিক রাজ্য এবং বস্ত্র উৎপাদক সংস্থাগুলি। তাদের দাবি, কেন্দ্রে এই সিদ্ধান্তের ফলে কাজ হারাবেন এক লক্ষ মানুষ।
গুজরাত, দিল্লি, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ু পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে পক্ষ থেকেও এর বিরোধিতা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেন রাজ্য অর্থ দফতরের উপদেষ্টা রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস-এর তরফে জিএসটি কাউন্সিলের কাছে বস্ত্রশিল্প এবং পাদুকাশিল্পে জিএসটি বাড়ানোর প্রস্তাব করে। সরকার সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দেয়। এই শিল্পগুলিতে বর্তমান ৫ শতাংশ জিএসটি বেড়ে ১২ শতাংশ হওয়ার কথা ছিল আগামী ১ জানুয়ারি থেকে। কিন্তু চাপের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হল কেন্দ্র।