ডেস্ক: সারা দেশে এনআরসি করার পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। মঙ্গলবার সংসদে একথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তবে তিনি জানিয়েছেন,নাগরিক আইন ১৯৫৫ অনুযায়ী ২০২১ সালে জনসুমারির প্রথম ধাপের সঙ্গে জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী সংশোধন করা হবে। পরে শাহ জানিয়ে দেন,’প্রধানমন্ত্রীই সঠিক। এনআরসি নিয়ে মন্ত্রিসভা বা সংসদে কোনও আলোচনাই হয়নি।’
সাংসদ রক্ষা নিখিল খাড়সের প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার লিখিতভাবে নিত্যানন্দ বলেন, ‘জাতীয় স্তরে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।’ তবে তিনি জানিয়েছেন, ২০২১ সালের জনগণনার প্রথম পর্যায়ের সঙ্গে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) সংশোধনের কাজ (আপডেট) চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: এমআর বাঙুর হাসপাতালকে দেশের সেরা জেলা হাসপাতালের স্বীকৃতি দিল নীতি আয়োগ
তিনি জানিয়েছেন,’জনগণনার সময় জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি সংশোধন করা হবে। পরিমার্জিত হবে জনবিন্যাস ও পরিবার এবং ব্যক্তির অন্যান্য তথ্য। তাতে থাকবে বায়োমেট্রিক তথ্যও। এজন্য কোনও নথি সংগ্রহ করা হবে না। কোভিড সংক্রমণের জেরে এনপিআর বন্ধ স্থগিত করা হয়েছিল।’ দেশের প্রতিটি নাগরিকের সামগ্রিক তথ্যপঞ্জি তৈরিই এনপিআর-র উদ্দেশ্য।
আপাতত শুধুমাত্র অসমে এনআরসি চালু হয়েছে। ২০১৯ সালে যখন এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তখন ৩.৩ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে ১৯.০৬ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছিল। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছিল রাজনৈতিক বিতর্ক। এ দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন,’এনআরসি নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে কোনও ব্যক্তি ১২০দিনের মধ্যে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারেন।’