কলকাতা: যুদ্ধের কারণে মাঝপথে পড়া থামিয়ে দিয়ে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশে ফেরা পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়তি খরচ না করে এ রাজ্যে পড়া শেষ করার সুযোগও পাবেন ওই পড়ুয়ারা। সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নশিপের সুযোগও মিলবে। তার জন্য মিলবে ভাবা। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বার কারও যাতে একটি বছরও নষ্ট না হয় তা দেখা হবে।
বুধবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে মোট ৩৯১ জন পড়ুয়া যুদ্ধের কারণে মাঝপথে ফেরত এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী একে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি ঘোষণা করে বলেন, ইউক্রেনে যে পড়ুয়ারা মেডিক্যালের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়া মাঝপথে থামিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তাঁদের জন্য অফলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারে সরকার। প্রথম বর্ষের কেউ নতুন করে শুরু করতে চাইলে বিশেষ ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, তাঁর বক্তব্য, সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা যায়, সে জন্য ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)’-এ চিঠি লিখবে রাজ্য সরকার। এনএমসি এ বিষয়ে আপত্তি করলে ইউক্রেন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়াদের নিয়ে দিল্লি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, মেডিক্যালের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বর্ষের পড়ুয়াদের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে মিলবে সরকারি ভাতা। ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের এ রাজ্যে পড়াশোনা করতে যাতে ফের টাকা খরচ করতে না হয়, সে প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মেডিক্যাল কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে পড়ুয়াদের ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এক তৃতীয়াংশ কোটা থাকে রাজ্যের হাতে। সেই কোটায় ইউক্রেন ফেরতদের ভর্তি করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তবে এ জন্য পড়ুয়াদের বাড়তি কোনও টাকা দিতে হবে না। যে অতিরিক্ত খরচ হবে, তা রাজ্য সরকার ও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ অর্ধেক করে দিয়ে দেবে। সে ক্ষেত্রে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার খরচেই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পাঠ শেষ করতে পারবেন পড়ুয়ারা।