ডেস্ক: শীতলকুচিকাণ্ডে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করল হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি নভেম্বরে। কোচবিহারের শীতলকুচিতে বিধানসভা ভোটগ্রহণের দিন অশান্তিতে মৃত্যু হয় ৪ জনের। এই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জোড়া জনস্বার্থ মামলা (PIL)। বুধবার এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্র ও রাজ্য, উভয়ের কাছেই হলফনামা চাইল আদালত।
করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন জোড়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, শীতলকুচির গুলিকাণ্ডে সিআইডি (CID) তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট আকারে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে। অন্যদিকে সিআইএসএফ গুলি কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে চালিয়েছিল, তার কার্যকারণ ইত্যাদি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে এই মর্মে কেন্দ্রের কাছ থেকেও একটি হলফনামা নেবে আদালত। আগামী নভেম্বর মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আদালতে।
আরও পড়ুন: রাতভর ভারীবৃষ্টি জের, সাতসকালে আহিরিটোলা স্ট্রিটে পুরানো বাড়ির একাংশ ভেঙে শিশু-সহ মৃত ২
একুশের বিধানসভা ভোটের পর পেরিয়ে গিয়েছে পাঁচ মাস। ১০ এপ্রিল, চতুর্থ দফার ভোটের দিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের শীতলকুচি। জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে ব্যাপক গণ্ডগোল শুরু হয়। গণ্ডগোল থামাতে গিয়ে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়।
এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আরও একটি চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই । তাতে কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল মানিক মৈত্র নামে এক ব্যক্তির মামলা যুক্ত হয়েছে। সেই মামলায় চার্জশিট পেশকরা হয়েছে। চার্জশিটে মোট ৬ জনের নাম রয়েছে, যার মধ্যে চার তৃণমূল নেতা পলাতক বলে খবর।