আন্দোলন এখনই থামবে না: রাকেশ টিকাইত

ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, সরকার বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করবে। কৃষি আইন প্রত্যাাহারের ঘোষণার পর কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন ‘আন্দোলন এখনই থামবে না। সংসদে কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।’ দেশ জুড়ে দীর্ঘ প্রতিবাদের পর অবশেষে ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসবাণীতেও ভরসা রাখতে পারছেন না আন্দোলনকারী কৃষকরা। কৃষকদের যৌথ সংগঠন সংযুক্ত কিষান মোর্চা জানিয়ে দিল, শুধু মৌখিক আশ্বাস যথেষ্ট নয়। যতদিন না সরকার সংসদে বিল এনে সরকারিভাবে আইন প্রত্যাহার করছে, ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন স্থল ছাড়বেন না।


কৃষক আন্দোলনের বেশ কিছু নেতার নামে প্রকাশিত সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন কৃষক বিরোধী তিনটি কালো আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গুরুনানাক জয়ন্তীর দিনটিকে এই ঘোষণার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে এবং আমরা সংসদীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই প্রত্যাহারের জন্য অপেক্ষা করব। যদি সেটা বাস্তবায়িত হয় তবে এক বছর ধরে চলে আসা কৃষক আন্দোলনের ঐতিহাসিক জয় হবে। এই লড়াইতে ৭০০ জন কৃষক নিজেদের প্রাণ দিয়েছেন। লখিমপুর খেরি সহ এই মৃত্যু গুলির জন্য সম্পূর্ণভাবেই কেন্দ্রীয় সরকাররে হঠকারি সিদ্ধান্ত দায়ী।”

আরও পড়ুন: কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


তিনি বলেন, কৃষক কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয় বিজেপির সরকার। বিজেপি সরকার সেবা ভাবনায় চলে। গুরু নানকের আবির্ভাব দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে সরকারের কৃষি ভাবনার কথা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ক্ষুদ্র কৃষকদের স্বার্থেই এই তিনটি আইন করা হয়েছিল। কিন্তু সবাইকে আমরা বোঝাতে পারিনি। তাই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে আইন। দেশের মানুষের কছে ক্ষমা চেয়েই তিনি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।

Related posts

পুজোর ভিড় সামলাতে শিয়ালদহে বিশেষ ব্যবস্থা, চালু হচ্ছে ৩১টি স্পেশাল ট্রেন

‘যাঁরা বলতেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, আজ তাঁরাই উদ্বোধন করছেন’— অমিত শাহকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ, মঞ্চ থেকেই বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের ডাক