শারীরিক অসুস্থতার কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে চাইছেন সনিয়া গান্ধীও। এই পরিস্থিতিতে নতুন সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোত কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারে একজন সোচ্চার সমালোচক। কংগ্রেস সভাপতির পদের জন্য শীর্ষ পছন্দ হিসাবে শোনা যাচ্ছে তাঁর নাম। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে এই খবর। সম্ভাব্য সভাপতি হিসাবে যাদের নাম সামনে উঠে আসছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। মঙ্গলবার সেই জল্পনাই আরও জোরাল হল সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে গেহলটের বৈঠকে। সূত্রের খবর, অশোক গেহলটকেই দলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে বলেছেন দলনেত্রী।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন অশোক গেহলট। সেখানেই তাঁকে সভাপতি হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন সনিয়া গান্ধী। তবে অশোক গেহলট এখনও নিজের পুরনো দাবিতেই টিকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দলের সকলেরই মত রাহুল গান্ধীই যেন সভাপতি হন। বৈঠক শেষে দিল্লি ছাড়ার পথেও তিনি বিমানবন্দরে বলেন, “আমি বারংবার বলেছি যে কংগ্রেস তখনই পুনর্জ্জীবিত হবে যদি রাহুল গান্ধীজী দলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। উনি না থাকলে সাধারণ মানুষ মানুষ আশাহত হবে এবং তারা যদি বাড়িতে বসে যান, তবে দল দুর্বল হয়ে যাবে। সকলের অনুভূতির সম্মান রেখে রাহুল গান্ধীজীরই দায়িত্ব গ্রহণ করা উচিত।”
যদিও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে গেহলোত এখনও পর্যন্ত দলের শীর্ষ পছন্দ। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সোমবার বলেন যে রাহুল গান্ধীর তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত কারণ তাঁর শীর্ষ পদে না থাকা দলের কর্মীদের নিরাশ করবে। গেহলোত দলের সভাপতি হওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন যে রাহুল গান্ধী দলের সভাপতির জন্য সর্বসম্মত পছন্দ ছিলেন।
আরও পড়ুন :
সাতসকালেই লালু ঘনিষ্ঠ একাধিক আরজেডি নেতার বাড়িতে সিবিআই হানা
অনূ্ব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
নজর শুভেন্দুর গড়ে, লোকসভায় লক্ষ্য রেখে পঞ্চায়েত ভোট থেকে প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ অভিষেকের
ত্রিপুরার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সুবল ভৌমিককে সরিয়ে দিল তৃণমূল